প্রত্যয় নিউজ ডেস্কঃ কালান্তক ব্যাধিতে হুমায়ূন আহমেদ চলে গেছেন, তারও পেরিয়েছে আট বছর। তবে জীবনে যেমন মরণেও তেমনি হুমায়ূন অসামান্য হয়ে আছেন মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায়। হুমায়ূন আহমেদ তার সাহিত্য সৃষ্টির পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন স্বপ্নের নুহাশ পল্লী। কথার জাদুকরকে ছাড়া কেমন আছে তার প্রিয় নুহাশ পল্লী?
কোনো এক ঘোর লাগা বৃষ্টি দিনে তিনি চলে গেছেন আকাশের ওপারে। তবুও বাংলার ঘাস, ফুল লতা, জলধারা, আকাশ প্লাবিত জ্যোৎস্নার মধ্যে হুমায়ূনকে কে ভোলে?
মনের মাধুর্য দিয়ে তিল তিল করে তিনি গড়েছেন নুহাশ পল্লী। এখানেই যাপন করা জীবনকে তিনি স্বপ্নময় আরও প্রাণময় করেছেন। ওষধি গাছ, দিঘী লীলাবতি কিংবা বৃষ্টি বিলাস। তেমনই আছে আগে যেমন ছিল। তবুও এক শূন্যতা। রাজাধিরাজের শূন্যতা।
জীবনশিল্পীর লেখনীতে কত গল্প, কত হাহাকার, কত আনন্দ কিংবা ভালোবাসতে পারার অজানা সূত্রের সন্ধান। মায়াবী গল্পের মানবিক জাদুকর নিজেও তো ভালোবেসেছেন অবারিত প্রকৃতিকে। নুহাশ পল্লী দাঁড়িয়ে আছে প্রকৃতিকে ভালোবাসার এক নীরব সাক্ষী হয়ে।
হুমায়ূন কোথায় আছেন, দূরে কোথায় দূরে দূরে, সে কোন পৃথিবীতে, তার কোন নাম নেই, মানচিত্র নেই, রোড ম্যাপ নেই, তবুও অনন্তের কাছে সব না বলা কথা পাঠিয়ে দিচ্ছে তার অগণিত পাঠক। ভালোবাসার যত অশ্রু, অশ্রুর কাব্য এবং অশ্রুর অনন্ত পঙক্তিমালা।
নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মরণঘাতী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কিংবদন্তি এ কথাসাহিত্যিক ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে মাতুলালয় শেখ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন